ফলে আগামী মাসে সীমিত পর্যায়ে টিকাদান এবং চূড়ান্তভাবে মহামারির ইতি টানার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।
কয়েক দিন আগে ফাইজার এবং তাদের জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক ঘোষণা দেয় যে বড় ধরনের চলমান পরীক্ষায় দেখা গেছে, হালকা থেকে গুরুতর কোভিড-১৯ রোগ ঠেকাতে তাদের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
প্রতিষ্ঠান দুটি জানায়, তাদের টিকার সুরক্ষা ও ভালো নিরাপত্তার যে মান রয়েছে তাতে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া উচিত। চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে এমন অনুমতি মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষ (এফডিএ) দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
এফডিএ’র কাছে আবেদন জানানোর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান দুটি ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যেও আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে আবার করোনাভাইরাসের ঢেউ দেখা দেয়ায় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষগুলো টিকা ব্যবহারের অনুমতি দ্রুত দেয়ার চাপের মাঝে রয়েছে।
ফাইজারের টিকার সফলতার ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্তনি ফৌসি বলেছিলেন, ‘সাহায্য পথে রয়েছে।’
তবে তিনি জানান, এখনই মাস্ক পরা ও অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা ত্যাগ করা ঠিক হবে না। ‘আমাদের আসলে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা দ্বিগুণ করা দরকার।’
ফাইজারের হিসাব অনুযায়ী, বছরের শেষ নাগাদ তারা সারা বিশ্বে ৫ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করতে পারবে। চলতি সপ্তাহে জাতীয় ওষুধ অ্যাকাডেমিতে উপস্থাপন করা তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের জন্য ডিসেম্বরে ২.৫ কোটি, জানুয়ারিতে ৩ কোটি এবং ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আরও ৩.৫ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যেতে পারে। গ্রহীতাদের তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। মার্কিন সরকার লাখ লাখ ডোজ টিকা কিনতে ফাইজার-বায়োএনটেক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিতে এসেছে এবং তা বিনামূল্যে বিতরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রতিযোগী মডার্নার কোভিড-১৯ টিকাও খুব দূরে নেই। প্রারম্ভিক তথ্য বলছে যে তাদের টিকাও ফাইজারের মতো শক্তিশালী। তারাও জরুরি ব্যবহারের জন্য কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আবেদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।